Friday, 20 January 2023

Project ITER


পৃথিবীর মধ্যে মিনি সূর্য তৈরি হতে চলেছে দক্ষিণ ফ্রান্সের Saint-Paul-lès-Durance এ। সেই সূর্য তৈরিতে ভারতও তাল মিলিয়ে চলছে আর পাঁচটা দেশের সঙ্গে। কিভাবে?
            
                        ●Project ITER ●

 International Thermonuclear Experimental     Reactor :
----------------------------------------------------------
পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম ambitious energy project। একটি ম্যাগনেটিক ফিউশান device যাকে বলে Tokamak। সূর্যের মধ্যে ঘটে যাওয়া সংযোজন বিক্রিয়ার টুকরো সংস্করণ।

সহযোগী দেশ:
-------------------
প্রজেক্ট এর ফান্ডিং এবং সম্পাদনের কাজে যুক্ত আছে  7টি দেশ,যথা: China, the European Union, India, Japan, Korea, Russia and the United States। তার মধ্যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ রয়েছে।আরও অনেক দেশ নানাভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। আশাকরা যায়, এর পূর্ণ নির্মাণ খরচ হবে 22 বিলিয়ন ইউরো!! যার সিংহভাগ বহন করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান। বাকি খরচ সমান ভাবে বহন  করবে অবশিষ্ট দেশ গুলি।
এটিই প্রথম device যা প্রথমবারের জন্য Net energy উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এর আগের সমস্ত প্রজেক্ট গুলোর Q value কখনোই 1 ছাড়াতে পারেনি। এর ক্ষেত্রে সেটা প্রায় 10। বলাহচ্ছে, 50 মেগাওয়াট তাপশক্তির বিনিময়ে এটি প্রায় 500 মেগাওয়াট ক্ষমতার প্লাসমা তৈরি করবে।


ITER কি করতে চলেছে ?
------------------------------------
◆প্রথমবারের জন্য 500 মেগাওয়াট এর সংযোজন ক্ষমতার(fusion power energy) শক্তি উৎপাদন করতে চলেছে এবং যথেষ্ট সময়ের জন্য।
◆Green energy র ব্যবহারের দিকে এক অনবদ্য পদক্ষেপ।আগামীর ব্যবহারিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত  fusion power plant কেমন হতে চলেছে তার রূপরেখা বানাতে সহায়ক হবে এটি।
◆আগামী দিনে deuterium-tritium অন্যতম জ্বালানি হতে চলেছে। কিন্তু tritium এতটাও সহজলভ্য নয় বলে কিভাবে তার চাহিদা মেটানো হবে সেই কাজ ও চলবে একই সাথে।

এই বেলা বলে রাখি fusion/সংযোজন কি?
---------------------------------------------------------
আকাশভরা সূর্য তারা যার জন্য অনবরত জ্বলতে থাকে তার মূলে হল এর ভেতরে অবিরত ঘটে যাওয়া সংযোজন বিক্রিয়া। কিন্তুএই বিক্রিয়া ল্যাবরেটারী তে ঘটাতে চাই বিপুল উষ্ণতা, চাই জ্বালানি। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, deuterium tritium(হাইড্রোজেনের isotopes)  দিয়ে এটা ঘটানো যাবে  তুলনামূলক কম তাপমাত্রায় এবং অনেক efficient way তে।

Tokamak জিনিসটাই বা কি?
-----------------------------------------
এর ভেতরেই হবে বিক্রিয়া। একটা doughnut-shaped vacuum chamber  যার মধ্যে বিপুল চাপ ও তাপমাত্রায় জ্বালানিগুলো প্লাসমায় পরিণত হবে।প্লাসমা হচ্ছে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা। এটাকে আয়নিত গ্যাস বলা যেতে পারে। সূর্যের অভ্যন্তর থেকে শুরু করে দৈনন্দিন আমরা যে lightning কিংবা মেরুপ্রভা দেখি এগুলো সবই প্লাসমা। ব্রহ্মাণ্ডের 90% পদার্থই বলতে গেলে প্লাসমার।
                ■ এরপর ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে সমস্ত প্লাসমাকে ভেসেলের নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এবং জ্বালানি গুলো সংযোজিত হয়ে বিপুল তাপ উৎপাদন করবেএরপর সেই তাপ দিয়ে nuclear reactor এর মত করেই টারবাইন দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি পাওয়া যাবে। তারপর  বর্তমানে যে সমস্ত tokamak গুলো কার্যকরী আছে তার চেয়ে এই ITER এর প্লাসমা চেম্বার 10গুন বড় হতে চলেছে। আর শক্তি উৎপাদনের ব্যাপারটা তো আগেই বললাম।

কবে থেকে শুরু হবে এর কাজ?
-------------------------------------------
লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে 2035 এর  থেকে পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।

■ আপাতত এটুকুই। পুরোটা উইকিপিডিয়া বা iter.org থেকে পাওয়া যাবে।
★ভারতের অবদান এই প্রজেক্ট এ তাৎপর্যপূর্ণ।আর তা জানতে হলে iter-india.org  তে গিয়ে দেখতে পারেন।
ছবি©: ITER 

Tuesday, 8 November 2022

বন্য অরণ্য, অন্য অরণ্য

বন্য অরণ্য, অন্য অরণ্য

কাছে পিঠে যে গুটিকতক অরণ্য এখনো বেঁচে আছে সে অরণ্য বন্য অরণ্য, স্বভাব - অরণ্য। সে অরণ্যের গর্ভমন্দির শাল-পিয়াল- পলাশ-শিমুল-কেঁদ আর ঝোঁপ-ঝাঁটি জঙ্গলের রহস্য দিয়ে বোনা। সে অরণ্যের গাছপালা হাতি ঠাকুরের লজ্জা নিবারণ - ক্লান্তি হরণ স্থল। বিপন্নতার মাঝে  অপার আশ্রয়স্থল। সে অরণ্যের মানুষ লাজুক, পাতার আড়ালে তারা মুখ লুকায়। অরণ্য বিনা তারা বাঁচে না। হাতিদের পরিক্রমণ পথে সেসব মানুষেরা ছিল। তাদের অস্তিত্ব অরণ্যের মতোই অপরিবর্তনশীল। তাই তাদের আদিম গন্ধ হাতিরা বোঝে। তাই ওরা আসে। ওদের রক্তে ওদের পথচিহ্ন খোদাই করা থাকে। ওরা ভোলে না। সেই এক পথ। সেই এক সময়। আদিম অরণ্যদেবী ঐরাবত সদৃশ গজ পৃষ্ঠে বিহার করতে করতে অনার্য সভ্যতার মহাকালের পৃষ্ঠা এভাবেই উল্টিয়ে চলেছেন।

এর বাইরে এক ধরনের অরণ্য বর্তমান। যেখানে ফরেস্টাররা বাঁচে। আর সে অরণ্য নিজে সরকারি অনুপ্রেনায় বাঁচে। সে অরণ্য সামাজিক অরণ্য। ইউক্যালিপটাশ, আকাশমনি দিয়ে যার রচনা। সে অরণ্যের বুকে, কালো পিচগলা রাস্তা বেয়ে আদিম অরণ্যের লাশ চলে যায় ট্রাকে বোঝাই হয়ে। সে আরণ্যের মানুষ হাতি ঠাকুরের জন্যে তার বিছায়। তাদের দেহ থেকে হিংসার গন্ধ ছড়ায়। তারা বহিরাগত। আদিম আরন্যকার সন্তান তারা নয়। 

ছবি : বাবা কালুয়া ষা৺ড় এর মন্দির থান। নয়াগ্রাম।

Monday, 4 July 2022

পরাজয় ও অভিমানীনির গল্প


মানুষের আপ্রাণ বেঁচে থাকার যে আকুতি তার অবদানে থাকে ভীষণ কষ্ট। যা প্রবল সংবেদী। ভুল করেও পরাক্রমী সমাজবিধির মুখোমুখি হলে তার শিকার ও সৎকার করে ফেলে প্রচলিত  ধারার ও ধারণার নিয়মকানুন গুলি। তাই সতত  বেঁচে থাকা যা নিয়ে সেই নিরন্তর অন্ত:সলীলা ফলগুধারার, জন্ম আর মৃত্যু এই অন্তঃকরণে। নশ্বর দেখের সাথেই বিলীন হওয়াই তার ভবিতব্য.......

        ভালো লেগে যায় আবার, নতুন করে! অবুঝ মায়াহরিণীর মত ভাষা ভাষা চোখে ঝিম ধরে যায়। ভয় হয় চোখে চোখ ফেলতে। কেমন একটা ধুন যেন ওর আসে পাশে জালবুনে চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে। ওকে দেখতেই হয় টিফিনের সময় লুকিয়ে লুকিয়ে।আলাপি চোখের নজর এড়িয়ে ওর দৃষ্টিজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বেঁচে থাকতে মন্দ লাগেনা। মুখের উপর উপচে আসে হাসির কল্লোল। কে যেন ভেতর ভেতর খুব করে ভাঙন ধরায় মনের আগলে। দিশাহীন সমুদ্রে শুধুই ওর ইচ্ছেই ভেসে থাকি। ওর পাশে বসে খাই। কে যেন ভেতর ভেতর জাদুচালিয়ে বলে ওর সোজাসুজি  বস, ওর খাতার নিচে খাতা রাখ, ওর রঙের কলম কেন.. আরও কত কী ! বলতে পারিনি। সেই যে কে যেন জোর করে বলতে বলেছিল, ভালোবাসি বল। বলিনি। বলা উচিত হয়নি। দৈনিক এই আবর্তনের পালা হটাৎ করে নিভে যায়। কোনোদিন যে কলমটা সে ভুল করে ফেলে গেছিল, পরবর্তী প্রেমের আগে অব্দি সে রোজ স্বপ্ন নামায়।

এই চরাচরের সাধারনত্বের ভিড়ে যে অনাড়ম্বর সুন্দরের উপাখ্যান অনাদরের অনুকম্পা নিয়ে লালিত হয়,তাকে মিলিয়ে নেয়া সহজ নয়। মনের ধরন দরাজ হলে পরেই বেষ্টনীর অজান্তে পরিপুরকের রংমিলন্তি হয়। আর হলও তাই। যে প্রথম গিয়ে নিজের সমর্পনের কথা জানান দেয়, সে এই চোখ। সেই থেকে তার এই অধমের প্রতি অনুভূতি বা তোয়াক্কাহীন চোখে চোখ বলতে গিয়ে পায়ের তলার মাটির উত্থান পতন অনিবার্য হয়ে উঠল।তার আগের পিছের পিচ্ছিল বাতাসে যে আতরগন্ধী মোহ ছিল তার অতলে বার বার ঢলে যেতে যেতে সাঁতরে নিয়েছে মন। তবুও অশান্তির এক অচঞ্চল সরীসৃপ থেকে থেকে উন্মাদ হয়ে হৃদয়ে নিদারুন জ্বালা ধরিয়েছে। তবু গেছি সামলে।
             কোথায় যেন শুনেছিলাম অপ্রাপ্তির একটা বড় মহিমা আছে। রহস্যের যেমনটা থাকে কী ভীষণ সৌন্দর্য! ফিরিয়ে দিয়েছিলে আমায়,আলতো ভর্ৎসনায়। তেমন করে  পড়িনি কখনও। প্রেমে না, free fall এর কথা বলছি। ফলে একটি কি হয় , অপরিণত বয়সের পরিনতিহীন প্রেমে যে দংশন থাকে, যে ক্ষত সময়েরও প্রতিদ্বন্দ্বী।
         লিখব।লেখাটা জরুরি।উদাত্ত কণ্ঠে সত্যের বাঁধ ভেঙে উগরে দেওয়াটা প্রত্যয়ীর একটা পরিচয়।বোধগম্য অনুভূতির ওপারে গিয়ে সূক্ষ চেতনা নিয়ে কাটাছেঁড়া করে তাকে শব্দের রূপ দিতে ও শিখে গেছে ,যখন তার ভাসা ভাসা দুটো চোখ প্রথমবারের তরে সপ্তম বসন্তকে আলিঙ্গন করে ফেলেছিল। সে কথা বলতে গেলে স্মৃতির সারণি বেয়ে সহস্র পথ হেঁটে যেতে হয়।তখন ও একা ছিল।কেউ ছিল না পাশে। একটা আলহাদী কলমের ডগায় মনকে নরম কালীর দোয়াতে ডুবিয়ে স্বপ্নীল ডানায় উড়ে যেত কতখানি পথ তা ও নিজেরও জানা নেই।এলোমেলো আর  উজ্জ্বল দুটো চোখ আর ঠোঁটের সোপান ছাড়িয়ে গালভরা অনবদ্য এক হাসি আজও প্রায় সমকালের গন্ডি পেরিয়ে ওর কাছের মানুষদের মনের বন্দরে নিদ্বিধায় ঘাঁটি গেড়ে আছে।শুধু নেই বলতে ওর সেই টানটান ডগমগ করা জীবনিশক্তিটা। এখন ভীষণ আড়পাগলাটে। পুরোনো একাকিত্বের ছিল ওর নিঃসঙ্গতা। কিন্তু এখন সকলের মাঝে ওর মানায় না।হলুদ বাসন্তী ফুলকে যেমন লম্বা এক খানি সকাল পেরিয়ে দুপুর রোদে যেমন লাগে। বেশ বোঝা যায় ও আর বাঁচতে চায়না। কত বদ্যি-ডাক্তার-বন্ধু -প্রেমিক তো এলো। কিন্তু কি ওর মরে যাওয়া মনকে তুলে ধরা গেলোনা কেন? কি হয়েছিল ওর।কোনো উত্তর নেই সমকালের কাছে। উত্তর একটা ছিল।সময়ের কাছে। কিন্তু অগ্রাহ্য এর আড়ালে সে এখন মরা গাং। আচ্ছা এই গল্পটাকে নাহয় এখানেই উপসংহার টেনে দেয়া যেত।কারণ ক্লাইম্যাক্সটা নিঃসংকোচে বলে দেয়া যায়।কিন্তু এখান থেকে গল্পটা শুরু হচ্ছে।একটু রয়েসয়ে খুলতে হচ্ছে স্মৃতির মোড়ক.....(চলবে)

Saturday, 12 February 2022

Battle of Beards

  Battle of Beards : Darwin vs Kelvin 
এই দুজনই বেশ চেনা নাম আমাদের সকলের কাছে। কিন্তু আমরা হয়ত জানিনা এককালে সাইন্স কমিউনিটি প্রত্যক্ষ করেছে ইনাদের দ্বৈরথ তাও আবার "পৃথিবীর বয়স ঠিক কত" নিয়ে যা আসলে কিনা geologist কম্ম, ইনাদের নয়! 
"Some of the great scientists, carefully ciphering the evidences furnished by geology, have arrived at the conviction that our world is prodigiously old, and they may be right but Lord Kelvin is not of their opinion. He takes the cautious, conservative view, in order to be on the safe side, and feels sure it is not so old as they think. As Lord Kelvin is the highest authority in science now living, I think we must yield to him and accept his views."-Mark Twain, Letters from the Earth (Burchfield, ix)
 
 
আরিষ্টটেল মনে করতেন পৃথিবীর অস্তিত্ব অনন্তকাল ধরে আছে।নিউটন থেকে কোপারনিকাস সকলেই বিশ্বাসী ছিলেন যে পৃথিবীর বয়স কয়েক হাজার বছরের বেশি নয়। 1650 সাল নাগাদ Archbishop James Ussher, Biblical Reference থেকে পৃথিবীর বয়স নির্মাণ করেন যা প্রায় 4000বছর। যাইহোক সেই টাইম ফ্রেমের মধ্যেই আবদ্ধ থাকতে স্বচ্ছন্দবোধ করতেন তৎকালীন Geologist ও Biologist রা। ফলত জীবের সময়সাপেক্ষ বিবর্তনের পক্ষে ততটা সাওয়াল করেননি কেউই। 
সালটা 1830, Geologist Charles Lyell এর তিন খন্ডের "Principles of Geology" এই ধারণার আমূল পরিবর্তন আনলেন। এনারা Uniformitarianism পন্থী ছিলেন। এই মতে, পৃথিবীর ভূতাত্বিক পরিবর্তন মন্থরগতির,যেন present is the key to the past. নদীর ক্ষয়কার্যের মত ধীর প্রক্রিয়া হোক বা অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিকম্পের মত তাৎক্ষণিক ঘটনা পৃথিবীর বুকে যুগ যুগ ধরেই বা বলা ভালো geological timescale এ চলে আসছে সৃষ্টির পর থেকেই। কিন্তু এর আগে geologist দের ধারণা ছিল পৃথিবীর এই ভূপ্রকৃতিক বিভিন্নতা কোনো সাময়িক বিপর্যয়ের ফসল। কিন্তু সেই ধারণাকে রীতিমত challenge এর মুখে ফেললেন ইনি। তিনি দেখালেন বিভিন্ন ভৌগলিক পরিবর্তনের যে টাইমস্কেল মেনে ঘটে তা কোটি কোটি বছরের হিসেবে।
 ডারউইন, Lyell এর ধারণা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। এমনকি তিনি যখন HMS Beagle এ চড়ে পাড়ি জমান পৃথিবীর জীববৈচিত্রের সন্ধানে, তখন এই বইটি ছিল তার সফরসঙ্গী। ডারউইন জানতেন বিবর্তন এর খেলায় Natural Selection এর জন্যে প্রকৃতির প্রয়োজন অনেকটা সময়ের। কিন্তু পৃথিবীর বয়স যেখানে মাত্র হাজার বছরের সেই ধারণার বিপরীতে গিয়ে তিনি Lyell এর ওপর ভরসা রেখেছিলেন। তার On the origin of spicies এর প্রথম edition এ সেইমত পৃথিবীর আনুমানিক বয়স ঠিক কত হতে পারে তার অস্পষ্ট ধারণা দেন। কিন্তু বিপুল controversy র জন্ম দেয়ায় পরবর্তী এডিশন গুলোতে তা বাদ দেন।
1860 সাল নাগাদ লর্ড কেলভিন (Thermal conductivity & Heat Flux) পৃথিবীর বয়স 100 Million Year নিরূপণ করলেন। এপ্রসঙ্গে বলি, Astrophysics এ gavitating protostar দের বিবর্তনের ধারায় Kelvin Helmholtz টাইম স্কেল একটি গুরুত্বপূর্ন স্কেল, যা দিয়ে তিনি তারাদের life time নির্ধারণ করা সম্ভব। তিনি সূর্যের বয়স নির্ধারণ করেছিলেন যা ছিল পৃথিবীর বয়সের কাছাকাছি। সূর্যের অভ্যন্তরে নিউক্লিয় সংযোজন এর ধারণা সেসময় ছিলনা। ফলে তিনি আসলে underestimate করেছিলেন।কেলভিন আদপেই এই ফিল্ডের একবিরাট ব্যক্তিত্ব।তার ব্যক্তিত্বের বহুদিক এখানে তুলে ধরা সম্ভব নয়। তবুও Thermodynamics র first & second law formulation থেকে শুরু করে কেলভিন Helmholtz Instability, Translantic Telegraph Cable, Kelvin Helmholtz time scale , incompressible fluid এর ক্ষেত্রে Kelvins Vorticity Theorem, Joule-Thompson Effect সহ আরও বহু ক্ষেত্রেই কেলভিন আছেন স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই। তাই তৎকালীন ফিজিক্স কমিউনিটিতে লর্ড কেলভিন যে ভীষণ প্রতিপত্তির অধিকারী হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেক্ষেত্রে কেলভিন কে ভুল প্রমাণিত করা মোটেই সহজ কাজ না। বলতে বাধা নেই একপ্রকার পুরো কমিউনিটির authority তার যেন কাছে ছিল ! এদিকে জিওলজি ছিল সে সময়ে অপেক্ষাকৃত নতুনশাখা। তুলনায় পদার্থবিদ্যা ছিল বেশ সংগঠিত । তাই তাদের কারুর কথা সেই অর্থে কোনো মাত্রা পেল না। Natural Selection পড়ল প্রশ্নচিহ্ন এর মুখে। ডারউইন পড়লেন মহা বিপাকে। এদিকে Geologist রাও ছাড়বার পাত্র না। তাদের গণনা পরিষ্কার জানান দিচ্ছিল পৃথিবীর বয়স কোনমতেই একশো মিলিয়ন বছরের নিচে তো নয়ই। বরং বেশি। Paleontologist জীবাশ্মের বয়সের সাথে মেলাতে পারছেন না পৃথিবীর কমবয়সকে। নানাদিক থেকে কেলভিন এর ওপর নেমে এলো তীব্র criticism. খোদ কেলভিন এরই এককালের সহকারী Mathematician John Perry, বললেন ভুলটা ঠিক কোথায় হচ্ছে। চুপ রইলেন না কেলভিনও। দমবার পাত্র তিনি নন। নতুনভাবে পাওয়া রকের গলনাঙ্কের data থেকে তিনি পৃথিবীর বয়স কমিয়ে আনলেন 20 মিলিয়ন year এ। এ একদমই অসম্ভব মনে হল Geologist- Paleontologist -Biologist দের কাছে। তাদের reasoning এর মধ্যে সমুদ্রবক্ষে sedimentation থেকে শুরু করে সমুদ্রের জলের লবণাক্ততার জন্যে নদীগুলোর বয়ে আনার নোনার মাত্রা ইত্যাদির যে টাইমস্কেল তা এর তুলনায় ঢের বেশি। এবং তাদের কেউই আর কেলভিন ও তার অনুগামী Physicist দের seriously নিলেন না। শেষমেশ Radioactivity র দৌলতে আমরা জানি যে শেষ হাসি হেসেছিলেন ডারউইনই। তবে তিনি তা দেখে যেতে পারেননি জীবদ্দশায়। তবে কেলভিন দেখেছেন, ক্লাসিক্যাল থেকে কোয়ান্টাম মেকানিক্স এ paradigm shift হতে। ঐতিহাসিক ভাবে একথা জানান যায়না যে কেলভিন তার ভুল সম্পর্কে কোন স্বীকারোক্তি করেছিলেন কিনা। 
প্রতিভাবান এই বিজ্ঞানী শায়িত আছেন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে তে নিউটনের সমাধির পাশে। আর তার glasgow University র ল্যাবরেটরির পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ছোট্ট নদীটা এখনও, নাম কেলভিন এর নামে "কেলভিন রিভার"।
 
Photo Credit : Wikipedia
References :  
 
 
 
 

Saturday, 22 January 2022

সযত্নে

দাদুকে লেখা চিঠি। লিখেছেন মাষ্টারমশাই বিজয় জানা।
" মুকুটটাতো পড়েই আছে, রাজাই শুধু নেই।"

Friday, 21 January 2022

প্রেমের সাতকাহন


           খুব পুরোন হয়নি সেই সব দিনে

         দুপুরের গলিটা কাক ডেকে ডেকে ক্লান্ত হত যখন

     পৃথিবী তখন দিনের বাস্ততা থেকে একটুকরো নিয়ে

 জানলার আমগাছের ছায়াটা যে অন্ধকারের হাতছানি দিত

ঐখানে চুপটি করে জিরিয়ে নিত একপ্রস্থ

  তারপর বিকেল হওয়ার নামে কখন সখনও সকাল হত

    বাড়ির থেকে একমুঠো ভীতু চোখেরা আলতো দরজা ঠেলে

         ইচ্ছে গুলো নিয়ে বেরিয়ে আসতে একরত্তি স্বপ্নকে আঁচলে ভরে

             তারপর আলতো দুটো পা- পিঠ অব্দি  কালো চুলের পাঁচিল

                  নিয়ে সে গিয়ে খোঁচা দিত পাশের বাড়ির জানলায়,

                      আর ফিসফিসিয়ে নামধরে ডাকতো যেন কাকে!

                           সে সব দিনে  আমি diary লিখে কাটাতাম

           তারপর দিনকে হাতঘড়ি করে মেয়েটি বড় হলো

        কথা বলতো যেন পৃথিৱীতে আমাদের বোবা হলেই চলত বেশ

    সবকথাদের একটা প্রচ্ছন্ন ইচ্ছে থাকতো 

    ওর মুখ দিয়ে বলতে চাওয়ার

   ওই দিনগুলো আমারও তেমন করে মনে নেই

  নামগুলোও কেমন যেন জটপাকিয়ে গেছে

পুরোনো ইতিহাসে লেখা নেই সেসব আর,

  চটজলদির ভিড়ে সেসব সাফ হয়ে গেছে


   দেখা হলো আবার অনেক বছর

     সেই ছোটকালের আবছায়া সব কথায়

      বেশ চেনা ঠেকেছে ,আগের সেই দিনগুলি

       রোজকার ডাইরির পাতা,জানালা,ছায়ানা

         কোথায় যেন দেখেছি….খুব চেনা!

         একদিন বাবার সাথে হাত ধরে মেলায় গিয়ে

           একেই তো দেখেছিলাম!

             বেলুন আর পুতুল নিয়ে বায়না করেও শেষে

              চোখের জল নিয়ে ফিরে  যাওয়া সেই  মেয়েটি!

                                      

           …ওরা ছেড়ে দিলো আমাদের পুরাতন পাড়ার বাড়িটা

         রোজ জানলা দিয়ে যাকে দেখবো বলে

       দুপুর বিকেল এক করে সন্ধ্যা নামাতো যে ছেলেটি,

     আজ সেই মেয়েটি আবারচোখের সমস্ত দৃষ্টি জুড়ে

   ছোটবেলায় কি ছিল জানানেই !

তবে আজ কেমন  হচ্ছে মনের ভেতর

 তাকাতে পারলোনা বেশিক্ষন

  কাছাকাছি এলে পরে..

    ভালোলাগার জানলাটা যায় খুলে

     যেন হুড়মুড়িয়ে বাতাস এলো, সাথে সেই আমের দুপুর

        ফিসফিসিয়ে কথা বলা রেলিঙের সবটুকু

         দৌড়ে গিয়ে সে তার ছোটবেলাকার ডায়রী নিয়ে

           পাগল করে দেখল-খুঁজল-পড়ল

             কিন্তু কোথায় সেই লেখা!একবার জিজ্ঞেস করলে হতো না?

                   - মেয়েটি সেই কিনা?


               কথায় কথায় বাবা বললেন,ওদের কথা

             ডায়রীটা আছে মায়ের আলমারিতে

           মা পড়তেন আমার কাঁচা হাতের অক্ষরে লেখা diary

         আর মাঝে মাঝে আমাকে অবাক করে কাউকে দিয়ে ,

     গল্পের বই অনিয়ে উপহার দিতেন

আমিও জমিয়ে লিখতাম

আজ আবার সেই ডায়রী খুঁজলাম যখন

 মা কেমন একটা অদ্ভুত হাসি হাসলেনতারপর

  বললেন, জানতাম..একদিন তুই চাইবি এগুলো

   তাই রেখেছি যত্ন করে লাল কাপড়ে মুড়ে

    তর সইলো না সবকটা পড়লাম

     একনিঃশ্বাসে  সেই পুরোনো খাটের ওপর এলিয়ে

     তারপর ওটা রেখে দিলেম পাশে

      মন ভরে খিলখিলিয়ে হাসলাম

        কি না লিখেছি-ভেবেছি-হাবিজাবি সব

     তারপর হাওয়া দিতে একটু একটু করে চোখের পাতাভারি হয়ে এলো

    সেই হারানো বিকেলের  গল্পের আসার মুহুরত গুলো                                                                          অনুভব করলাম অবচেতনে


     তারপর আর কী..!..দিন পেরিয়ে যাচ্ছে হুস হুস করে

        পাল্লা দিয়ে নাবলা প্রেম..

         যে প্রেম কোনো দিন প্রেমিকার কথা শোনেনি বা

        একটা বাক্যও বলতে গিয়ে আটকে গেছে ঠোঁটে,

তারা ভেতরে ভেতরে প্রেমের সাম্রাজ্য গড়ে....