পৃথিবীর মধ্যে মিনি সূর্য তৈরি হতে চলেছে দক্ষিণ ফ্রান্সের Saint-Paul-lès-Durance এ। সেই সূর্য তৈরিতে ভারতও তাল মিলিয়ে চলছে আর পাঁচটা দেশের সঙ্গে। কিভাবে?
●Project ITER ●
International Thermonuclear Experimental Reactor :
----------------------------------------------------------
পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম ambitious energy project। একটি ম্যাগনেটিক ফিউশান device যাকে বলে Tokamak। সূর্যের মধ্যে ঘটে যাওয়া সংযোজন বিক্রিয়ার টুকরো সংস্করণ।
সহযোগী দেশ:
-------------------
প্রজেক্ট এর ফান্ডিং এবং সম্পাদনের কাজে যুক্ত আছে 7টি দেশ,যথা: China, the European Union, India, Japan, Korea, Russia and the United States। তার মধ্যে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ রয়েছে।আরও অনেক দেশ নানাভাবে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে। আশাকরা যায়, এর পূর্ণ নির্মাণ খরচ হবে 22 বিলিয়ন ইউরো!! যার সিংহভাগ বহন করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ান। বাকি খরচ সমান ভাবে বহন করবে অবশিষ্ট দেশ গুলি।
এটিই প্রথম device যা প্রথমবারের জন্য Net energy উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এর আগের সমস্ত প্রজেক্ট গুলোর Q value কখনোই 1 ছাড়াতে পারেনি। এর ক্ষেত্রে সেটা প্রায় 10। বলাহচ্ছে, 50 মেগাওয়াট তাপশক্তির বিনিময়ে এটি প্রায় 500 মেগাওয়াট ক্ষমতার প্লাসমা তৈরি করবে।
ITER কি করতে চলেছে ?
------------------------------------
◆প্রথমবারের জন্য 500 মেগাওয়াট এর সংযোজন ক্ষমতার(fusion power energy) শক্তি উৎপাদন করতে চলেছে এবং যথেষ্ট সময়ের জন্য।
◆Green energy র ব্যবহারের দিকে এক অনবদ্য পদক্ষেপ।আগামীর ব্যবহারিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত fusion power plant কেমন হতে চলেছে তার রূপরেখা বানাতে সহায়ক হবে এটি।
◆আগামী দিনে deuterium-tritium অন্যতম জ্বালানি হতে চলেছে। কিন্তু tritium এতটাও সহজলভ্য নয় বলে কিভাবে তার চাহিদা মেটানো হবে সেই কাজ ও চলবে একই সাথে।
এই বেলা বলে রাখি fusion/সংযোজন কি?
---------------------------------------------------------
আকাশভরা সূর্য তারা যার জন্য অনবরত জ্বলতে থাকে তার মূলে হল এর ভেতরে অবিরত ঘটে যাওয়া সংযোজন বিক্রিয়া। কিন্তুএই বিক্রিয়া ল্যাবরেটারী তে ঘটাতে চাই বিপুল উষ্ণতা, চাই জ্বালানি। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, deuterium tritium(হাইড্রোজেনের isotopes) দিয়ে এটা ঘটানো যাবে তুলনামূলক কম তাপমাত্রায় এবং অনেক efficient way তে।
Tokamak জিনিসটাই বা কি?
-----------------------------------------
এর ভেতরেই হবে বিক্রিয়া। একটা doughnut-shaped vacuum chamber যার মধ্যে বিপুল চাপ ও তাপমাত্রায় জ্বালানিগুলো প্লাসমায় পরিণত হবে।প্লাসমা হচ্ছে পদার্থের চতুর্থ অবস্থা। এটাকে আয়নিত গ্যাস বলা যেতে পারে। সূর্যের অভ্যন্তর থেকে শুরু করে দৈনন্দিন আমরা যে lightning কিংবা মেরুপ্রভা দেখি এগুলো সবই প্লাসমা। ব্রহ্মাণ্ডের 90% পদার্থই বলতে গেলে প্লাসমার।
■ এরপর ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে সমস্ত প্লাসমাকে ভেসেলের নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। এবং জ্বালানি গুলো সংযোজিত হয়ে বিপুল তাপ উৎপাদন করবেএরপর সেই তাপ দিয়ে nuclear reactor এর মত করেই টারবাইন দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি পাওয়া যাবে। তারপর বর্তমানে যে সমস্ত tokamak গুলো কার্যকরী আছে তার চেয়ে এই ITER এর প্লাসমা চেম্বার 10গুন বড় হতে চলেছে। আর শক্তি উৎপাদনের ব্যাপারটা তো আগেই বললাম।
কবে থেকে শুরু হবে এর কাজ?
-------------------------------------------
লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে 2035 এর থেকে পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে।
■ আপাতত এটুকুই। পুরোটা উইকিপিডিয়া বা iter.org থেকে পাওয়া যাবে।
★ভারতের অবদান এই প্রজেক্ট এ তাৎপর্যপূর্ণ।আর তা জানতে হলে iter-india.org তে গিয়ে দেখতে পারেন।
ছবি©: ITER
No comments:
Post a Comment