আনুমানিক 15,200 BC তে আছড়ে পড়া ধূমকেতুর ছবি খোদাই করা আছে।
©The Earth & Sky.org
Astronomy পদার্থবিজ্ঞানের একটি অন্যতম প্রাচীন শাখা যেটা মানুষের সভ্যতার ইতিহাসে , বিজ্ঞানের সবচেয়ে পুরোনো ধারাগুলোর মধ্যে অন্যতম । আদিম মানুষের বিষয়মুগধ চোখের প্রথম আকাশভরা তারা দেখাই ছিল হয়ত তার সূচনার সংলাপ।অন্ধকার প্রেক্ষাপটে দিন দিন চলমান মহাজাগতিক আলোকবিন্দুগুলিকে দেখতে দেখতে তাদের মনোজগতে সভ্যতার জিয়নকাঠি পরশ লাগতে থাকে।তাদেরই মধ্যেকার কিছু কৌতূহলী অনুসন্ধিৎসু মননের সচেতনতার স্বরূপ হয়তো আজকের বিজ্ঞান।আমরা জানিনা প্রাগৈতিহাসিক মানুষের সেই প্রাথমিক মুগ্ধতা কেমন ছিল!তবে অবোধ ছোটবেলার কিছু ভেসে আসা টুকরো স্মৃতি আমাদের সেই অনুভূতির ছোঁয়াচ দিয়ে যায় বৈকি, কিছুমাত্রায়।রাতের আকাশ আলো করে উঠতে থাকা চাঁদ কিংবা কালপুরুষ-সপ্তর্ষিমণ্ডলের মত পরিচিত কিছু নক্ষত্রমণ্ডলি দিয়ে আমাদেরও তো আকাশ পরিচয়ের প্রথমপাঠ।তবে ওদেরও কী এমনতর কিছু!আদিম প্রাগৈতিহাসিক মানুষের প্রতিনিয়ত জীবনধারণের যে অনিশ্চয়তাটুকু ছিল, তা আমাদের পক্ষ্যে অনুমান বা কিন্তু আস্বাদন প্রায় অসম্ভব।সেই যুগযুগ ব্যাপী তাদের অন্ধকার গুহা-উন্মুক্ত প্রান্তর-ঊষর মরু কিংবা সাগর সৈকত বেয়ে নিরাপত্তাহীন হেঁটে যাওয়ার মাঝেও কিন্তু অন্ধকার মনের কোনে ধীরে ধীরে বিজ্ঞানের আলোকবর্তিকার উদবর্তন হয়।মানুষের উৎসাহে সায় দিয়ে প্রকৃতির প্রশ্রয় হয়ে নেমে আসে কোন এক প্রাচীনযুগের উল্কাপাত।
■ উল্কার একটু পুরাতন ইতিহাস:-
-----------------------------------------------
মানুষের আগেও তো পৃথিবী ছিলো!সেই পৃথিবী যেখান থেকে প্রাগৈতিহাসিক ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গেছে নিঃশব্দে।আর তার নির্ভরযোগ্য কারণ হিসেবে সেই উল্কাপাতের উপস্থাপনা করা হয়।..এইভাবে বহুদিন কেটে গেছে।মানুষ মনের ভাব লেখায় প্রকাশ করতে শিখে গেছে ততদিনে।চীন,জাপান, কোরিয়ার ঐতিহাসিক পুঁথিপত্রে এহেন উলকাপাতের প্রমান রয়েছে।কিন্তু তাদের উৎপত্তির কারণটা ধোঁয়াশাই থেকে গেছে।সময়টা আঠারো শতকের শেষ দিকে।সেই সময়ে ঘটে যায় কিছু উল্লেখযোগ্য এবং দর্শনীয় উল্কাপাত এবং ধূমকেতু নিয়ে হৈরৈ-ধুন্ধুমার কান্ড।কিন্তু সেরকম ভাবে এক্সপ্লোর করা হল না সেবারেও।তা শুধু তথ্য হয়েই রয়ে গেল খাতায়-কলমে।সেসময়ের বিখ্যাত দার্শনিক এরিস্টোটেল মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে ধারণা দিয়েছিলেন তাতে পৃথিবীকে খুব secred ভাবা হত এবং পৃথিবীকে কেন্দ্র করে আবর্তন করত চাঁদ-সূর্য এবং আরো কিছু গ্রহতারা।আর ভাবা হত celestial spehere-র ওপর বসে চমকে-চমকে-ধীর-ভীরু-পা'য় আবর্তনকারী পথিক হিসেবে।এদিকে পৃথিবীর চতুর্দিকে মৌলিক উপাদান হিসেবে ভাবা হত, ছড়িয়ে থাকা চারটি উপাদান : মাটি,জল,বায়ু আর আগুন'কে।এদের মধ্যে যে বল ক্রিয়া করে তা দুই ধরনের।বলা হচ্ছে একটি,অভিকর্ষ(gravity) : যেটির দরুন তলিয়ে যাওয়ার প্রবণতা মাটি বা জলের। অন্যটি হল, প্লবতা(levity) : যে জন্যে আগুন বা বায়ু ওপরের দিকে উত্থানের । অর্থাৎ, একটি পৃথিবীর দিকে, অন্যটি পৃথিবী থেকে।পঞ্চম যে উপাদানের কথা তিনি বলেছিলেন তা হচ্ছে সর্বব্যাপী বিরাজমান ইথার।আবার এদের অবস্থান বিবেচনা করতে গিয়ে বললেন যে সবচেয়ে terrestrial position বা সমীপে আছে মাটি।তার ওপর জল,তারপর বায়ুমণ্ডল আর তাকে ঘিরে আছে আগুন। যাইহোক, এই যে আগুন heaven এর ঘূর্ণণ এর জন্যে এখন থেকে মাঝে মাঝে বায়ুমন্ডলে প্রলম্বিত হয়ে আসে উল্কা আকারে।এই ছিল সে সময়কার উল্কার ইতিকথা।
■ মহাবিশ্ব সম্পর্কিত এই ধারণার একপ্রকার অবসান হল কোপার্নিকাসের(১৫৪৩) heliocentric মডেল থেকে ঠিকই কিন্তু উল্কা বা ধূমকেতু সম্পর্কে সেরকম বিশেষ কিছু উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা হল না।তারপর বহুদিন কেটে গেছে।তারপর আকাশে এল এক আলোকজটা আর ছৱটার সমাহার নিয়ে এক ধূমকেতু।এই সময়ে আরেক খ্যাতনামা বিজ্ঞানী Tycho Brahe এই ধূমকেতু নিয়ে নিখুঁত পড়বেক্ষন-টেক্ষন করে বললেন,এই ধূমকেতু আমাদের থেকে চাঁদের যা দূরত্ব তার চেয়েও ছ’গুন দূরত্বে অবস্থান করছে এবং এর যা বেলেল্লাপনা দেখছি তাতে মনে হয়না যে celestial sphere বলে আদপে আর কিছু রয়েছে।যে সমস্ত ঘটনা প্রবাহ টেলিস্কোপ আবিষ্কারের বহু আগে।সুতরাং বিজ্ঞানীদের কতটা বিশ্লেষণধর্মী এবং বলিষ্ঠসাহসী হতে হয় চিন্তাভাবনার স্তরে,তার একটা বড় মাপের উদাহরণ পেলে তোমরা।এখন এই শীতের সন্ধ্যেবেলা একটা মজার গল্প বলে নিয়ে আলোচনাটা জমিয়ে নেয়া যাক!ছোট থেকেই Tycho র আকাশ পর্যবেক্ষণে নিদারুন নেশা।কিন্তু এই টলেমি বা এরিস্টটল এর ধারণা তার পোষাচ্ছিল না।নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর ছন্দপতনের মধ্যে দিয়ে তার সাথে পরিচয় হয় কেপলার’র।যিনি polyhedral theory র সাহায্যে গ্রহদের গতিবিধি ব্যাখ্যা করতে চেয়েছিলেন সে সময়ে।কিন্তু তারও দরকার ছিল কোথায় গিয়ে Tycho-র তিরিশ বছরের অক্লান্ত শ্রম দিয়ে নেয়া data- র।যা নিখুঁত বললেও কম বলা হবে ওই সময়ের খাতিরে।সুতরাং, প্রতিভাবান একজন থেওরিস্ট আর একজন তুখোড় observational scientist এর মিলন ছিল সময়ের অপেক্ষা।বিজ্ঞানের ইতিহাসে এই ঘটনা যে অন্য মাত্রার তা আর বলে দিতে হয়না।প্রচলিত আছে যে, মঙ্গলের গতিপ্রকৃতি নিয়ে যখন হোঁচট খাচ্ছিলেন তখন তিনি এর data Tycho র কাছে চেয়ে বসেন।কিন্তু Tycho সম্ভবত তার প্রতিপত্তি রক্ষার কথা ভেবে তাঁকে পুরো data দেননি।১৬০১ এ যখন Tycho মৃত্যু হল তার পরে পরে তিনি সমস্ত data পান এবং ১৬০৯ নাগাদ গ্রহদের আবর্তন সংক্রান্ত প্রথম দুটি সূত্র সামনে আসে।যাকগে সে কথা।তবে একবার এদের জীবন কাহিনী পড়ে দেখলে বুঝবে তাদের জীবনের বৈচিত্র্যতা তাদের ভিন্ন মেরুতে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবে। তোমরা যদি কখন প্রাগে যাও দেখবে পাশাপাশি সহাবস্থান করছে দুই দিকপালের মূর্তি।ভাব তো কি অদ্ভুত মুগ্ধতায় ভরা এই বিজ্ঞানের ইতিহাস।তারপরের সময়টা Newtonian Era।এই সময়ে নিউটন র সূত্রের হাত ধরে সনাতন পদার্থবিদ্যার(classical mechanics) নতুন করে যেন এক দিগন্তের সূচনা হল।গ্রহ-নক্ষত্রের গতিই শুধু নয়, উল্কা বা ধূমকেতুর গতিপ্রকৃতিও জানা সম্ভব হল।এটা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সেই সময় যখন alchemy থেকে chemistry কিংবা astrology থেকে astronomy র সূচনা হচ্ছে।
ছবি: Tycho Brahe এবং Johannes Kepler
(ওপর থেকে)©wikipedia
■ আবার ফিরে আসি উল্কার কথায়।এরপর আসি Halley (১৬৮৮)র কথায় যার নামে বিখ্যাত Halley র ধূমকেতু।তিনিই সম্ভবত প্রথম যিনি বললেন,উল্কাদের terrestrial নয় বরং extraterrestrial /cosmic/মহাজাগতিক উৎপত্তির origin এর কথা।এমনকি এদের গতিবেগও নির্ণয় করেছিলেন।পরে আবার এরিস্টটটেলিও ধারণায় ফিরে যান।এর পরে ধীরে ধীরে এসংক্রান্ত গবেষণায় নতুন দিক উন্মোচিত হতে থাকে এবং সেই থেকে উঠে আসা তথ্য নিয়েই আমাদের পরবর্তী কথাবার্তা চলবে।এপ্রসঙ্গে একটা বলে রাখা ভালো Clarke (১৮৩৪) নিছকই ঠাট্টার ছলে বলে ফেলেন : এই যে উল্কা দেখছো এর পেছনে ধূমকেতুর হাত নেই তো!ব্যাস,এই ঠাট্টা পরবর্তীতে একটা ধারণায় পরিবর্ধিত হল।এনিয়েও বলব আমরা।
©NASA
এসো আলাপ করে নিই:- ইনি
Asteroid/গ্রহাণু:
-------------------------
মানে গ্রহের চেয়ে আকারে ছোট পাথুরে অংশবিশেষ যারা প্রতিনিয়ত সূর্যের চতুর্দিকে ঘুরছে।এরা সৌরজগতের জন্মলগ্ন থেকেই বিদ্যমান কিন্তু ব্রাত্য।তোমরা হয়ত শুনবে মঙ্গল আর বৃহস্পতির মাঝে একটা বিরাট asteroid belt/গ্রহাণুর পুঞ্জ অবস্থান করছে।এরই মধ্যেকার কিছু বেয়াড়া গ্রহাণু বৃহস্পতি বা অন্য কোন গ্রহের অসমঞ্জস টানে পথ ভোলা পথিকের বেশে পৃথিবীর দিকে কখনো কখনো ধেয়ে আসে।
Meteroids:
-----------------
মানে গ্রহাণুর ছোট ভাই।মানর আকারে গ্রহাণুর চেয়ে ছোট এই যা!
Meteor/উল্কা:
---------------------
যে গ্রহাণু বিশাল গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে চেয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে ঘর্ষণের দরুন সৃষ্ট প্রচন্ড তাপমাত্রায় গলে যায়।এর ফলে সৃষ্ট আগুনের হল্কা দেখে মনে হয় উল্কা /তারা খসা/shooting star।এ অ্যরিজনা তে যে খাতটি আজ থেকে প্রায় ৫০,০০০ বছর আগে উল্কাপাতের দরুন সৃষ্ট।এরকম বহু উলকাপাতের চিন্হ পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তবে ভয় নেই সাম্প্রতিক সময়ে বড় কোন ইম্প্যাক্ট এর সম্ভবনা উড়িয়ে দিয়েছে NASA।
Meteorite/ভূপতিত উল্কা:
--------------------------------------
মানে যারা বায়ুমণ্ডলেবাধা অতিক্রম করে নাকি সাঁতরে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে, তারা।বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ৫০০ উল্কা এসে পড়ে ভূপৃষ্ঠে।কিন্তু পৃথিবীতে বেশিরভাগটাই জল আর স্থলে মানুষের বসতি মত ক্ষেত্রফলের তুলনায় খুবই কম,তাই বেশিরভাগটাই লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যায়।একটা উদাহরণ হিসেবে তোমরা youtube এ chelyabinsk এ 2013 সালের ঘটনার ভিডিও দেখতে পারো।
ছবি: chelyabinsk এর।©wikipedia
■ এবার আসি যেখানে আমরা আগে ছেড়ে গেছিলাম।অর্থাৎ, clarke এর ঠাট্টা।দেখা গেছে এই যে আমরা উল্কাবৃষ্টি বা meteor shower র কথা বলি তা আসলে ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া স্মৃতিচিহ্ন আর তা দেখে আমাদের নিজ গ্রহের দহন।কিরকম? ধূমকেতু হল বরফ আর পাথুরে সমন্বয়ে গড়া মহাজাগতিক বস্তু।সূর্যের সামনে এলে বিকিরণ জনিত চাপের কারণে যার একটা ঝাঁটার মত লেজ দেখতে পাওয়া যায়।(এই বছরই আমরা NEOWISE নিয়ে অনেক কথা বললাম কিন্তু আলোক দূষণ হোক আর যাইহোক টিকিটিও পেলাম নি)।
ধূমকেতু সূর্যের নিকটে এলে তার তীব্র মহাকর্ষ জনিত টানের পীড়ণে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চূর্ণবিচূর্ণ রাশি ধূমকেতুর পথ ধরে সূর্যের চতুর্দিকে প্রদক্ষিনরত হয়।এবার সেই পথে যখন পৃথিবী এসে পড়ে।তখন লেগে যায় নারদ নারদ!পৃথিবীর আকর্ষণে ওরা ধেয়ে আসে আর আমাদের শীতের রাত জেগে উল্কা বৃষ্টির জন্যে হন্যে হয়ে থাকতে হয়!সুতরাং পৃথিবী যখন তার যাত্রাপথের একটি নির্দিষ্ট অংশে আসবে এবং সেটা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে তখন আমরা দেখতে পাব উল্কাবৃষ্টি।কিছু জনপ্রিয় meteor shower এর নাম:
★ Perseid meteor shower
★ Geminid meteor shower
★ Leonids meteor shower
এছাড়া উইকিপিডিয়া তে একটা বড় লিস্ট আছে।সেখানে থেকে জানা যেতে পারে কখন কি বৃত্তান্ত এসবের।
এবার সরাসরি চলে আসি geminid এর কথায়।
উৎস:-
--------------------------
ফায়েথন ৩২০০ নামের একটি asteroid কিংবা ধ্বংসপ্রাপ্ত ধূমকেতুর অতীতে ‘পাল্লাস’ নামে একটি গ্রহাণুর ধাক্কা লেগে থাকতে পারে। তার ফলে তৈরি হয়েছে প্রচুর ধুলো। সেই ধুলোই ছড়িয়ে পড়ছে মহাকাশে। আবার কোনও বিজ্ঞানীর ধারণা, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে কোনও ধূমকেতুর মাথার বরফের সবটা উবে যাওয়ার পর যে দেহাবশেষ পড়ে রয়েছে, সেটাই ৩২০০ ফায়েথন।সে যাইহোক সেই ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া পথের স্মৃতিচিহ্ন অর্থাৎ dust বা meteroid বায়ুমণ্ডলের সাথে ঘর্ষণে উল্কাবৃষ্টির সৃষ্টি করে যায়।
◆ আচ্ছা এই Geminid নামটাই বা কেন?!
-----------------------------------------------------------
আসলে meteor গুলোর যে কক্ষপথ টা তো একিরকমের সবার।তাই আকাশের একটি নির্দিষ্ট অংশ থেকেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে দেখব।এখন সেই নির্দিষ্ট অংশটা যাকে Radiant zone বলে সেটা জেমিনি নক্ষত্রমণ্ডলীর অংশ।যার উজ্জ্বল দুই তারা হল : Pollux এবং Castor ।তাই আমাদের যামিনী পোহানো না অব্দি জেমিনি এই অংশে চোখ রাখতে হবে।
● গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য এক ঝলকে:-
-------------------------------------------------
◆ এদের গতিবেগ হবে 35km/সেকেন্ড যা বুলেটের থেকেও 40 গুন দ্রুতগামী।তাই একটু সামলে!
◆ এবারে অমাবস্যার কারণে আমাদের জন্য বৃষ্টির থালায় কয়েকটা বেশি উল্কা পাতে পড়তে পারে।যতই হোক বাঙালি তো পাতে কিংবা মাছ ধরার পাটায় একটু বেশি সে খুঁজবেই!
◆ সবাই রাত দুটো বলে চেঁচাচ্ছে কারণ ওই সময় জেমিনি মাথার উপরে এলে আরো বেশি দৃষ্টি ক্ষেত্র জুড়ে ব্যাপারটা উপভোগ করা যাবে।ঘন্টায় 60 টি করে উল্কা আমরা মানে গোলকের উত্তুরের আলোকদূষণহীন আকাশের অধিকারী মানুষজন দেখতে পাব।
★ 14 তারিখের রাত 2টো।ভয় পাবার দরকার নাই,না আর এবারে কাসর-ঘন্টা নয়, এবারে একটু আকাশের দিকে তাকানো।নাসার মতে তিরিশ মিনিট আকাশের বুকে তাকিয়ে একটু চোখকে অন্ধকার সয়ে নিতে দিয়ে তারপর হা করে তাকিয়ে থাকা। ডুবুরি ডুবুরি মন খুঁজেও কুয়াশায় মুক্তা না পেলে, "পেল না,পেল না" বলে তরুনদাদুর মত না চেঁচানোই ভালো।
পুনশ্চ: আমি গুরু তারাপদ রায়ের কথা নিয়ে বলি,
শ্রীমান সমরেশ সেন,
লিখেছেন যা পড়েছেন
পড়েছেন যা পেয়েছেন।
অনেক কিছু জানি আর সমস্ত লেখাটা তার মধ্যে থেকে ছোট করে লিখেছি এমন নয়।নেট থেকে যা পেয়েছি সমস্তটা পড়ে লেখা।উইকিপিডিয়াবিদ্যা।তাই ভুলভ্রান্তি থাকা অসম্ভব নয়, কিন্তু তা শুধরে দেবেন প্লিস।
◆তথ্যসূত্র: লম্বা লিস্ট, চাইলেও দিবনি।
◆ সমস্ত ছবির © এবং copyright আমার নয়।যথাযথ উৎস উল্লিখিত আছে।