Friday, 7 January 2022

ছুটকি

ছুটকী সেদিন সেই পুকুরে জল ভরতে গেছে।চারিদিক নিরুত্তাপ- নিঝুম। নিঃস্তব্ধ দুপুর।রোদ্দুর এসে পড়েছে বটে। তবে সে গাছের গা-আড়াল করা রোদ্দুর। বসন্ত বৌরী আনমনে ডেকেই চলেছে।পুকুরের পাড় দিয়ে ডাহুকের নিঃস্তব্ধ চলার পথ হঠাৎ ওর আগমনে শঙ্কিত হয়ে থেমে যায়। জলের দিকে ঝুঁকে পড়া গাছের ডালে বসে নীল মাছরাঙা অট্টহাসির ফিনকি দিয়েই হঠাৎ উধাও! ছুটকি একদৃষ্টে চেয়ে থাকে..। চারিধারের ঘন বনানীর প্রতিবিম্ব বিম্বিত হয় স্বচ্ছ কাচের মতো জলে। ওর মনে হয় ওই বিম্বিত ছায়া রোদের বনানী যেন মায়াবন। মায়াহরিনীদের সচকিত চাহনি যেন সে অনুভব করে নীরবে আনমনে। সমগ্র পৃথিবীর নৈঃশব্দ যেন ওর সঙ্গী।জগতের সমস্ত তোলপাড় করা অনুভূতি ওর মনে অনুরণন তোলে...
             জানালাটা দুপুরের ভীষণ রোদের ঝাপ্টানিতে বন্ধ করতে গিয়েও হাতটা সরল না।ছুটকিকে দেখলাম সেই একভঙ্গি তে,কাঁখে কলসি নিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে! কেন এমন হলো জানিনা! ছুটকী আজ নেই। প্রায় ওর না থাকাটাও হল বিশ বছরের।জানালাটা আর খুলি না। শেষ বারের মতো বন্ধ করে দিয়েছি -নিঃশব্দে। 
   (২০১৮)
ছবি:HRI

No comments:

Post a Comment